কক্সবাজার, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

টেকনাফ থেকে আরও ২ নিখোঁজ স্কুলছাত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের রামুতে ‘অপহরণ হওয়া’ সেই চার স্কুলছাত্রের আরও দুজনকে উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।

টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবন পাহাড় থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহেদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়।

১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই দুই ছাত্রকে উদ্ধারের পাশাপাশি তিন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ কায়সার নামে এক নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধার করে র‍্যাব। সে সময় একজনকে আটক করা হয়।

র‍্যাব-১৫-এর হোয়াইক্যাং ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর ফারাবি সে সময় জানান, আটক ওই ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে বুধবার রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা।

তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যাং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।

স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়।

এরপর চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শুক্রবার ভোরে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন।

পাঠকের মতামত: